নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের রামুর চেরাংঘাটা বড় ক্যাং তথা উসাইচেন বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে। মন্দিরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাত ২ টা ৬ মিনিটে এক ব্যক্তি মন্দিরের ভেতর প্রবেশ করছেন। এরপর ২টা ৮মিনিটে আগুন লাগার সাথে সাথে সে একই ব্যক্তিকে মন্দিরের ভেতর থেকে দৌঁড়ে বাইরে বের হয়ে যেতে দেখা যায়।
বিহারে অবস্থানকারিরা ও স্থানীয়রা মিলে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে বিহারের ২য় তলার কাঠের সিঁড়ি পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর পর রামু উসাইচেন বৌদ্ধ বিহারে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক এবং র্যাব,পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
রামু ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কর্মকর্তা সৌমেন বড়ুয়া জানান, রাত ১টা ৪৫ মিনিটে আমাদের কাছে ঈঁদগড় বাজারে আগুন লাগার একটি টেলিফোন আসে। সে খবর পেয়ে আমরা ঈঁদগড় বাজারে পৌঁছাই। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখি কোন আগুনের ঘটনা ঘটেনি, খবরটি মিথ্যা ছিলো। তখনই আবার রামু বড় ক্যাং বৌদ্ধ বিহারে আগুন লাগার খবরে আমরা সেখানে ছুটে যাই।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিক অর্পণ বড়ুয়া বলেন, এটি নিছক কোন দূর্ঘটনা নয়। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় দেখা গেছে এক দূর্বৃত্তকে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য যে, ২০১২ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর একযোগে রামুর প্রায় সকল বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগের ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছিলো। সে সময় উসাইচেন (বড় ক্যাং) বৌদ্ধ বিহারটি আগুনের হাত থেকে রক্ষা পেলেও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছিলো।
স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাসিন্দা চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী লিটন বড়ুয়া বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি মূলত আজকের ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে। এটা খুবই সুপরিকল্পিত ঘটনা। ফায়ার সার্ভিসকে ভুল তথ্য দেওয়া তারই ইঙ্গিত। ২০১২ সালের পর আবারো এমন ঘটনা স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য হুমকিস্বরূপ।
দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীকে সনাক্তের মাধ্যমে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবী স্থানীয় বাসিন্দাদের।
পাঠকের মতামত